, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


মুক্তির পর কাঁটাতারে ঘেরা হলো জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে

  • আপলোড সময় : ১৬-০৪-২০২৪ ০৯:৫৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৪-২০২৪ ০৯:৫৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
মুক্তির পর কাঁটাতারে ঘেরা হলো জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে
এবার সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে দীর্ঘ ৩১ দিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। মুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের পথে রওনা দিয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করেছে।

জাহাজটি বর্তমানে ৮ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলছে বলে জানা গেছে। মুক্তির পর জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ঘেরা হয়েছে কাঁটাতারে। জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, জাহাজটি এখনও উচ্চঝুঁকিপূর্ণ এলাকা দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জাহাজের রেলিংয়ে কাঁটাতার দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ডেকে উচ্চ চাপের ফায়ার হোস, সিটাডেল, জরুরি ফায়ার পাম্প ও সাউন্ড সিগন্যাল প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া নাবিকদের থাকার জায়গা এবং ইঞ্জিন রুমের দরজা এবং ঢোকার পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
 
এদিকে কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর নিরাপদ জলসীমায় আনার আগ পর্যন্ত পাহারা দিচ্ছে দুটি যুদ্ধজাহাজ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সদস্যরা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। খোঁজখবর নিয়েছেন।

এখনও জাহাজটি এখনও উচ্চঝুকিপূর্ণ নৌ-সীমার মধ্যে থাকায় বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে সেটিকে দুবাইয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। তাদের সঙ্গ দিচ্ছে তিনটি দ্রুতগতির টহল বোট। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
 
জানা গেছে, অপারেশন আটলান্টার আওতায় সোমালিয়া উপকূল, এডেন, আকাবা, সুয়েজ, লোহিত সাগর ও আশপাশের এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। মূলত বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির জাহাজ নিরাপত্তা দেওয়া এবং দস্যুতাবিরোধী কার্যক্রম তদারকিই তাদের মূল উদ্দেশ্য।

সূত্র জানায়, জাহাজের সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গা হিসেবে সিটাডেল প্রস্তুত করা হয়। এর মোটা স্টিলের পাত ভেদ করে ঢোকা প্রায় অসম্ভব। এর ভেতরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারেন নাবিকরা। আগামী ২০ এপ্রিল জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছে কেএসআরএম গ্রুপ। 
সর্বশেষ সংবাদ
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বৃদ্ধি পাবে: তারেক রহমান

নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বৃদ্ধি পাবে: তারেক রহমান